বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, শিক্ষা একজন মানুষকে আলোকিত করে। শিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া জাতির প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়। রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতা নয়, মানুষের পাশে থাকা এবং তাদের কল্যাণে কাজ করা।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) নরসিংদী বেলাব উপজেলার হোসেন নগর পাইলট স্কুল মাঠে মান্নান সাকিনা এডুকেশন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্কুল স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি শিক্ষার গুরুত্ব, জনগণের কল্যাণ ও রাজনীতির সামাজিক ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের দল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সমান সুযোগ পায়, এটাই আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য।”
হোসেন নগর পাইলট হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার স্মরণীয় অবদানও তুলে ধরে এম এ কাইয়ুম বলেন, “স্কুলটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি স্বপ্নের প্রতীক। আমরা চাই প্রতিটি গ্রামে এমন উদ্যোগ গড়ে উঠুক। যেখানে শিশুরা শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পাবে। সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে বড় হবে।”
রাজনীতিকে মানুষের পাশে থাকার মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি রাজনীতি করি মানুষের ভালোবাসার জন্য। জনগণই আমার শক্তি। তাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা রাজনীতির আসল উদ্দেশ্য।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মান্নান সাকিনা এডুকেশন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, নরসিংদী জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মিনহাজুল হক, বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম, নরসিংদী সিভিল সার্জন সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, বেলাব থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মাহবুবুর রহমান এবং হোসেন নগর পাইলট হাই স্কুলের সভাপতি শাহিদ হোসেন ছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত বক্তারা ড. কাইয়ুমের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার উন্নয়ন ও মানবসেবায় তার অবদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তাদের মতে, তার নেতৃত্বে শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড. এম এ কাইয়ুমের এই উদ্যোগ শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এছাড়াও বক্তারা জানান, ড. কাইয়ুমের বক্তব্য ও কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। স্থানীয় জনগণ তার মানবকল্যাণমূলক চিন্তাভাবনা ও শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহজনক হিসেবে দেখছে। ড. এম এ কাইয়ুমের নেতৃত্বে শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রসার এবং জনগণের কল্যাণে রাজনীতির ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার কার্যক্রম ও দর্শন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিফলন এবং শিক্ষার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথকে আরও দৃঢ় করে। অনুষ্ঠান শেষে ড. এম এ কাইয়ুম তার মরহুম পিতা মাতার কবর জিয়ারত করেন।