বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

পারকি সৈকতে ২৭৬ দখলদার
Reporter Name / ১১০ Time View
Update : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিস্তীর্ণ সাগর, নীল জলরাশি, সবুজ ঝাউবন। প্রশস্ত সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন বা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত নয়; এ দৃশ্য পারকি সৈকতের। কম কোলাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দিন দিন পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার এ সৈকত ঘিরে। কিন্তু পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ সৈকতের ওপর দৃষ্টি পড়েছে দখলবাজদের। তারা সৈকতের আশপাশের সরকারি সম্পত্তি দখল করে গড়ে তুলেছে নানা ধরনের ব্যবসা। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে দখলদার ছিল এক দল। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তাতে যুক্ত হয়েছে নতুন মানুষ।

আনোয়ারার পারকি সমুদ্রসৈকতের আশপাশের ১৮২ একর সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন ২৭৬ জন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আগে এসব করতেন ১১৩ জন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরও ১৬৩ দখলদার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দখল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সরকারি বেড়িবাঁধের ব্লকের ওপরেই তৈরি করা হয়েছে ইট-পাথরের স্থাপনা।

কর্ণফুলী টানেল হওয়ার পর পারকি সমুদ্রসৈকতে পর্যটক বৃদ্ধির সুযোগে সরকারি জমিতে চলছে রমরমা ব্যবসা। দখলে আগে ছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী। এখন শীর্ষ দখলদারদের তালিকায় তাদের সঙ্গে ‘সর্বদলীয় ঐক্য’ করেছেন বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বারাশত ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ূম শাহ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ, কৃষক লীগের সভাপতি নুরুল আনোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা রাঙ্গাদিয়া বাজার কমিটির সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মনসুর সওদাগর, কর্মী মো. কামালসহ অনেকে এতদিন অবৈধ স্থাপনা গড়ে ব্যবসা করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে এখন জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মইয়ুম চৌধুরী, দুধকুমড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. কাসেম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি নুর উদ্দিন, উত্তর পারুমা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক আবদুর রহিম, বারাশত ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ বেলাল, বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার, মো. আনিস, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আকবর খান, জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক আক্তারুজ্জামান মিজান, হেফাজতে ইসলামের কর্মী এমডি সোহেল সালেহ, রায়পুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ, আবাসন ব্যবসায়ী ইফতেখার হোসেন, মোহনা পার্কের মালিক এরফানুল কবিরসহ ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে। বিএনপির প্রায় অর্ধেক সংখ্যক দখলদার দলটির দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক লায়ন হেলাল উদ্দিনের অনুসারী।

পাউবো গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তালিকা হালনাগাদ করে। গত ২৯ জুলাই তালিকার ভিত্তিতে উচ্ছেদ ও জমি উদ্ধারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

চট্টগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, আনোয়ারার উপকূল রক্ষা বাঁধ ও সৈকতজুড়ে দখল করে কয়েকশ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা  হয়েছে। আগে বেশ কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাধার কারণে সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি উচ্ছেদ অভিযানের জন্য দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।

সৈকতের ১৩ কিলোমিটারে যা দেখা গেল
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫, আনোয়ারা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পারকি সৈকত। দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার, প্রস্থ স্থানভেদে ৩০০-৩৫০ ফুট। শহর থেকে কর্ণফুলী টানেল, কর্ণফুলী নতুন সেতু ও আনোয়ারা– তিন স্থান থেকে সহজেই যাওয়া যায়।

সৈকতের ১৩ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেল, সাগরঘেঁষা দীর্ঘ বেড়িবাঁধ ও আশপাশের খাসজমিতে ১৮২টি পাকা ও ৯৪টি কাঁচা স্থাপনা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গাদিয়া শাহাদতনগর এলাকায় বেঁড়িবাধ সড়কে উঠতেই দেখা গেল হাতের ডানে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি। আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ফাঁড়ির পাশে ১২৩ শতক বায়নাসহ বিস্তীর্ণ খাসজমি দখল করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন। টানেলের ফ্লাইওভারের নিচে পাউবোর জমিও দখল করেছেন তিনি। আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, ‘আমি ১২৩ শতক জমি কিনেছি। এর পাশে ১০ গণ্ডা জমি পাউবোর। আমি খাসজমি দখল করিনি।’

ফাঁড়ি থেকে একটু সামনে বাঁয়ে চেয়ারম্যান সুলতান আহম্মদের বিশাল মৎস্য ঘের। ঘেরের বিপরীতে সড়ক ঘেঁষে এক সারিতে ২৩টি টিনের ঘর। একটি ঘরের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পড়ে থাকা খাসজমিতে ঘর করেছি। আমার বাবা আবদুর রাজ্জাক বিএনপি নেতা ছোটন ভাইদের কাছ থেকে এটি নিয়েছেন।’

দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আবদুল মইয়ুম চৌধুরী ছোটন বলেন, ‘বাঁধ ও সড়কের উভয় পাশে স্থানীয়দের পাশাপাশি হাতিয়া ও নোখায়ালীর ভাসমান মানুষ ঘর করে বাস করছেন। রাঙ্গাদিয়া বাজার উচ্ছেদ কার্যক্রমে আমাদেরগুলো ভাঙা হলে কোনো সমস্যা নেই।’

ঘের এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে রাঙ্গাদিয়া বাজারের পুরোটাই অবৈধ। এখানে ৬১ দোকানের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী। বাজার কমিটির সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর সওদাগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। আবু তাহের বলেন, ‘সরকারি খালি জমি ছিল। দোকানের পর দোকান উঠে বাজার হয়ে গেছে।’

বাজারের পাশে বাস্তুহারা নাম দিয়ে ১৭টি ঘর তোলা হয়েছে। সংলগ্ন নেভি সিকিউরিটি সাপোর্ট ক্যাম্প ছাড়ালে তেকোটা খাল সেতু। পাশেই খাসজমিতে সিরাজ স্টোরসহ চারটি দোকান চালাচ্ছেন নব্য দখলদাররা। উঁকি দিলেই দেখা যায় অবৈধ পারকি বাজার; দোকানঘর ২৪টি।

বাজার লাগোয়া অবৈধ লুসাই পার্কে ঢুকতেই দেখা গেল বাঁয়ে বিশাল পার্কিং জোনে বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার রাখা। সেখানে দুটি ঘের অবৈধভাবে করে চলছে মাছ চাষ। এ এলাকায় হাসনাত পার্কে ঢোকার মুখে খাসজমিতে ঘের। মালিক উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘সৈকতের কেনা জমিতে হাসনাত পার্ক করেছি। পার্ক ও ঘেরে খাস কোনো জমি নেই।’

পারকি বাজার থেকে আধা কিলোমিটার সামনে দুধকুমড়া বাজার; দোকান ৫২টি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাজারের খাসজমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিএনপির কার্যালয়। বাজারের এমআর কুলিং কর্নারের মালিক মো. মাসুদ বলেন, ‘পাউবোর নোটিশ পেয়ে দোকান ছেড়ে দিয়েছি।’ ব্যবসায়ী মো. আজিম বলেন, ‘পাউবোর উচ্ছেদ নোটিশের পর সেটি হয়েছে বিএনপির কার্যালয়।’

পরিবেশবাদীরা বলছেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে একদিকে যেমন আড়াল হচ্ছে সৈকত, তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য। স্থানীয় বাসিন্দা আলী হায়দার বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগে ব্যবসা করেছেন। এখন বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের কাছে হাতবদল হয়েছে।

চট্টগ্রাম পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক বলেন, আক্তারুজ্জামান মিজান, নূরুল আনোয়ার ও কাইয়ূম চেয়ারম্যানের দখলে আছে আমাদের প্রায় ১০ একর জমি। তাদের মধ্যে জামায়াত সমর্থক আক্তারুজ্জামান মিজান বলেন, ‘পাউবোর কিছু জায়গা আমার দখলে আছে। লিজ নিয়েছিলাম, পরে নবায়ন করিনি।’

আওয়ামী লীগ নেতার পার্ক এখন শিবিরের দখলে
২০১২ সালে পাউবোর জমিতে লুসাই পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কাইয়ূম শাহসহ ১৪ জন। ঘোড়দৌড়, রাইডিং বোট, হেলানো চেয়ার, মজার খেলা রিং থ্রো সবই আছে এখানে। সন্ধ্যা হলে রঙিন বাতিতে নান্দনিক হয় রিসোর্ট। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটির দখল নিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কর্ণফুলী থানার সাবেক সেক্রেটারি ও কুতুবদিয়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খান।
জানতে চাইলে কাইয়ূম শাহ সমকালকে বলেন, ‘রিসোর্ট এক বছর হলো লিজ দিয়েছি।’ আর আকবর খান বলেন, ‘কাইয়ূম চেয়ারম্যানসহ অন্যদের কাছ থেকে পাঁচ বছরের জন্য রিসোর্টটি লিজ নিয়েছি। রিসোর্টের সামনে খাসজমি অন্যদের মতো আমিও পার্কিংয়ে ব্যবহার করছি।’

৩০০ কোটি টাকার সম্পদ বেহাত, বছরে অবৈধ বাণিজ্য ৩২ কোটি 
সমুদ্রসৈকতে বাঁধজুড়ে দখলদারদের কবজায় ৬০ একরের বেশি জমি। বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এসব জমিতে অবৈধ বাজার, দোকান, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, মাছের গদি, ঘেরে মাছ চাষ করে বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা পকেটে পুরছে দখলদাররা। এ ছাড়া বাঁধের পাড়ে ৮০টির বেশি বসতঘর নির্মাণ করে মানুষ বাস করছেন।

পারকি সৈকতের তুলাতলী এলাকায় দখল করা জমিতে গড়ে উঠেছে নতুন রাজ কুটির কটেজ ও রেস্টুরেন্ট। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার থেকে বুধবার তাদের আয় প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। মাসে তাদের আয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এর পাশে বেলালের দোকানে রোববার থেকে বুধবার কাঁকড়া, পেঁয়াজু, ফুচকাসহ অন্যান্য জিনিস দুই থেকে তিন হাজার; বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মানুষ বেশি হওয়ায় এ দুই দিন পাঁচ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয়। সেই হিসাবে এ দোকানে মাসে ৯৪ হাজার টাকা, বছরে ১১ লাখ টাকা আয় করছেন বেলাল ঝাল বিতান অ্যান্ড চটপটি হাউস। এভাবে এ পয়েন্টের ১৫টি রেস্টুরেন্ট ও দোকানের সকলেই রাজ কুঠির ও বেলালের মতো মাসে লাখ টাকা আয় করছেন। বছরে ১ থেকে দেড় কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে এখানে।

একইভাবে তিন বাজার ও বাঁধের উভয় পাশে ১৯২টি দোকান বসিয়ে চলছে বাণিজ্য। বাজারে থাকা ১১৮টি দোকানে মাসে সাত থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় চলছে। এতে বছরে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ভাড়া তুলছেন দখলদাররা। ৭৮টি দোকান দখলদার নিজেরা ব্যবসা করছেন। সব মিলিয়ে ১৯২টি দোকানের মধ্যে প্রতিটিতে মাসে গড়ে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি ধরলে বছরে সাড়ে ৯ কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে বলে তিনটি বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। এ ছাড়া পার্ক, কটেজ, রেস্টুরেন্টে বছরে ১ থেকে দেড় কোটি টাকা, ২১টি ঘেরে বছরে মাছ চাষ করে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা আয় করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে ২০টি মাছের গদিতে (দোকান) মাসে আড়াই কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

নতুন ফুলতলী সৈকতেও দখলদার
ফুলতলী সৈকতের উত্তর পরুয়াপাড়ায় বাঁধের ব্লকে পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য লাল-নীল চালা দিয়ে রাজ কুটির কটেজ ও রেস্তোরাঁ করেছেন খায়রিয়া ফাউন্ডেশনের মালিক হেফাজতে ইসলামের কর্মী এমডি সোহেল সালেহ ও তাঁর ভাই ফাহাদ বিন সালেহ।

সোহেলের প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্লকে আবদুর রহিমের সি প্যালেস ক্যাফে, শেখ মোহাম্মদ, মোহাম্মদ বেলালের দোকানসহ এক বছর ধরে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা।

সোহেল বলেন, খালি জায়গায় করা রেস্তারাঁ আমার ভাই দেখাশোনা করছেন। কটেজ টাইপের স্থাপনাটি কেনা জমিতে করা। পর্যটকের সুবিধার জন্য ব্লকের ওপর খালি জায়গা ব্যবহার করেছি।

আবদুর রহিম বলেন, ফুলতলীতে এখন পর্যটক বেশি আসছেন। এ জন্য নতুন ব্লকের ওপর দোকান দিয়েছি। এটিকে দখল বলা ঠিক হবে না।

অভিযোগ বিষয়ে রায়পুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ সমকালকে বলেন, ‘দুটি দোকান দিয়েছি। ব্যবসা করছি; চুরি তো করছি না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি বড় দল হওয়ায় অনেকেই নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কাজ করছেন। দখলদাররা দলের হলেও ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category